আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা পবিত্র। এই ভালোবাসাটা কিভাবে দিন দিন বাড়বে তা একটু দেখে নিন-
✔প্রিয়তমার মুখে খাবারের লুকমা তুলে দেওয়া , তার প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দিকে লক্ষ্য রাখা।
✔প্রিয়তমার পানীয় দ্রব্যের অবশিষ্টাংশ পান করে তার প্রতি ভালবাসার প্রমাণ দেওয়া।
✔স্ত্রীর উরুতে শুয়ে তার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা বুঝানো।
✔স্ত্রীর সাথে একই বালতী বা গোসলের পাত্র থেকে গোসল করা।
✔স্ত্রীর সাথে বিনোদন ও মজাক করা।
✔স্ত্রীকে ঘরের কাজ-কর্মে সহযোগিতা করা।
✔স্ত্রীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখা।
✔প্রিয়তমার মনোরঞ্জনে সুগন্ধি ব্যবহার ও উত্তম পোষাক পরিধান করা।
✔প্রিয়তমাকে সংক্ষিপ্ত নামে ডাকা ও এমনসব শব্দ দ্বারা তাকে সম্বোধন করা যা সে পছন্দ করে।
✔প্রিয়তমার প্রতি সহমর্মিতা দেখানো এবং কখনো কাঁদলে অশ্রু মুছে দেওয়া।
✔স্ত্রীর জবানদরাজী বা বাকবিতণ্ডা বরদাশত করা।
✔স্ত্রীর রান্না করা খাদ্যে ত্রুটি না খোজা।
✔স্ত্রীকে মাঝে মাঝে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া,অবশ্যই ফিতনামুক্ত জায়গায়।
✔প্রিয়তমা যে খেদমত আন্জাম দেয় এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
✔স্ত্রীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বান্ধবীদের প্রতি সম্মান দেখানো।
✔স্ত্রীকে সবসময়ের জন্যে জীবনসঙ্গী হিসাবে রাখার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া।
✔দুঃসময় ও বিপদআপদে প্রিয়তমার পাশে থাকা ও অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
✔ইবাদত-বন্দেগী এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুম আদায়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীকে সহযোগিতা করা।
✔প্রিয়তমাকে নির্ভয় দেওয়া, আস্থাশীল রাখা ও ভয় না দেখানো।
✔ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় প্রিয়তমাকে চুমু খেয়ে নির্ভেজাল ও স্বচ্ছ ভালবাসা প্রদর্শন করা।
✔নিজেকে সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
✔স্ত্রীর সাথে সত্য কথা বলা,মিথ্যা থেকে দুরে থাকা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতের ওপর আমল করার তৌফক দান করুন, আমিন।