৫ টি ভুলের কারণে সংসারে অশান্তি নেমে আসে
৫ টি ভুলের কারণে সংসারে অশান্তি নেমে আসে
সাধারণত যে ছোট ভুলগুলির জন্য সংসারে অশান্তির ঝড় বয়ে যায় সেই রকম ৫টি ভুল নিয়ে আজ আলোচনা করব ৷
১- সন্দেহ করা
কোন সঠিক প্রমান ছাড়া স্বামী স্ত্রীকে আর স্ত্রী স্বামীকে কোনো ভাবে দোষারোপ করবে না ও সন্দেহ করবে না ৷ সঠিক প্রমান ছাড়া একে ওপরকে সন্দেহ করলে কথায় কথায় ঝামেলা সৃষ্টি হবে ৷ যার ফলে মনের মধ্যে সব সময় অশান্তির ঝড় প্রবাহিত হবে ৷ সেই ঝড়ের প্রভাব সংসার জীবনেও পড়তে পারে ৷
২- কৃপণতা করা
সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করা বাড়ির অভিভাবকের দায়িত্ব ৷ আর বাড়ির অভিভাবক যদি সেই ক্ষেত্রে কৃপণতা করে তাহলে সে খাল খুঁড়ে কুমির নিয়ে আসবে ৷ যার কারণে সর্বদা বাড়িতে তর্ক বিতর্ক অশান্তি লেগেই থাকবে ৷
সংসারে যা প্রয়োজন তা অবশ্য ক্রয় করতে হবে এই ক্ষেত্রে কৃপনতা করা মোটেও ঠিক না তবে লক্ষ রাখতে হবে প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত ফুজুল খরজ যেন না হয় ৷
৩- স্ত্রীর সঙ্গে দূর ব্যবহার-
অনেক স্বামী কথায় কথায় স্ত্রীকে গালি দেয়,বিভিন্ন ভাবে দূর ব্যবহার করে ৷ এটা ঠিক না ৷ অন্যায় ভাবে অত্যাচার করলে কিয়ামতে হিসাব দিতে হবে ৷এবং দুনিয়ার জীবনেও নেবে আসবে বিভিন্ন দিক থেকে যন্ত্রনা এবং ভেঙ্গে যাবে সুখের ঘর নেমে আসবে সংসারে অশান্তির ঝড় ৷ তাই অন্যায় ভাবে স্ত্রীর সঙ্গে দূরব্যবহার করবেন না ৷ রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম ৷
ফলে স্ত্রীকে ভালোবাসুন তবেই হতে পারবেন উত্তম স্বামী ৷
স্ত্রীকে ভালোবাসলে সে সংসারের কাজে বেশি মনযোগী হবে আর স্ত্রী যদি সংসারের কাজ কর্মে মন দেই তাহলে সুখে ভরে যাবে আপনার সংসার -কারণ সংসার সুখী হয় রমনির গুণে ৷
৪- পরকিয়া প্রেম
সংসার জীবনে পা রাখার পরেও অনেকে পরকিয়া প্রেম করে থাকে ৷ সে ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে উভয়েই এই রোগের শিকার হতে পারে ৷ মনে রাখবেন – বিয়ের পর যদি কেও পরকিয়া প্রেম করে অবাধে মিলামেসা করে ব্যাবিচার করে তাহলে শরিয়াতে তার শাস্তি মৃত্যু ৷ যদি স্বামী বা স্ত্রী এই অবৈধ পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত থাকে তাহলে সে অন্নায়ের পথে আছে ৷ এই দুনিয়াতে মানুষের চোখে ফাকি দিলেও, আল্লাহকে ফাকি দিতে পারবে না ৷ মনে রাখবেন পরকিয়া প্রেম মানুষের ইহকাল ও পরকাল ধ্বংস করে দেয় ৷ সংসারের সব সুখ বাতাসে উড়ে দেয় ৷
৫- স্বামীকে অবহেলা –
অনেক স্ত্রী আছে ভালো স্বামী পেয়েও তাদের মন ভরে না ৷ আর একটু সুন্দরী হলে স্বামীর কোন কথায় শোনে না, স্বামী কোনো আদেশ করলে অবহেলা করে বসে থাকে ৷যার জন্য সব সময় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবদ লেগে থাকে ৷
স্ত্রী যদি স্বামীকে কষ্ট দেয় তাহলে যে জান্নাত যেতে পারবে না ৷ কারণ স্বামীর কদমের নিজে স্ত্রীর জান্নাত ৷
বিদ্র:- স্বামী যদি কোন অন্যায় কাজ করতে বলে-যেমন নামাজ পড়তে বাধা দেওয়া,বেপরদা চলাফেরা করতে বাধ্য করা, ইত্যাদি তাহলে স্ত্রী স্বামীর কথা শুনবে না ৷ স্ত্রী স্বামীকে বলবে আল্লাহর আদেশ সে অমান্য করবে না ৷
আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ৷