নোটিশ

রাকিব মাল্টিমিডিয়ার এই পোস্ট টি আপনার ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং অন্যদেরকে এই ওয়েব সাইট টি ভিজিট করার জন্য অনুরোধ করছি। আপনার যেকোনো অভিযোগ সরাসরি জানাতে কল করুন 01772131866 নাম্বারে। ধন্যবাদ ---মো: রাকিবুল হাসান, স্বত্তাধীকারী, রাকিব মাল্টিমিডিয়া
Movies

রোযা ভঙ্গকারী রক্তের পরিচিতি

 


প্রশ্ন

মানুষের শরীর থেকে নির্গত রক্তের পরিমাণ সম্পর্কে আমি জানতে চাই যা রোযা ভঙ্গ করবে। কারণ আমি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিতভাবে কিছু রক্তপাতসহ অর্শরোগে (হেমোরয়েডে) ভুগছি। রক্তের পরিমাণ প্রায় আধা কাপ হয়ে থাকে।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

আমরা মহান আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করছি তিনি যেন আপনাকে দ্রুত আরোগ্য করে দেন।

যেহেতু এই রক্ত রোগের কারণে বের হয় তাই আপনার রোযাটি সহিহ। এমনকি রক্ত যদি অনেকও নির্গত হয় তবুও আপনার উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। যেহেতু এই রক্ত আপনার ইচ্ছাকৃত কোন কর্মের কারণে বের হচ্ছে না।

রোযা ভঙ্গকারী রক্তের ক্ষেত্রে নীতি হচ্ছে নিম্নরূপ:

মানুষের দেহ থেকে নির্গত রক্তের দুটো অবস্থা:

এক: ব্যক্তির নিজের স্বেচ্ছায় কৃত কর্মের কারণে রক্ত বের হওয়া। সেক্ষেত্রে এর বিধান ব্যাখ্যাসাপেক্ষ:

১। যদি শিঙ্গা লাগানোর কারণে রক্ত বের হয় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: শিঙ্গা প্রদানকারী  শিঙ্গা গ্রহণকারীর রোযা ভেঙ্গে গেল

২। শিঙ্গা লাগানো ছাড়া রক্ত বের হওয়া; যেমন শিরা থেকে রক্ত বের করা। এ রক্ত যদি পরিমাণে এত বেশি হয় যে রোযাদারের শরীরের উপর এর প্রভাব পড়ে তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে; যেমন: রক্ত দান করা। আর যদি পরিমাণে অল্প হয় যাতে রোযাদারের কোন ক্ষতি না হয় তাহলে রোযা নষ্ট হবে না; যেমন পরীক্ষা করার জন্য রক্ত দিলে রোযা নষ্ট হবে না।

দুই: ব্যক্তির অনিচ্ছায় রক্ত বের হওয়া; যেমন কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে, নাক থেকে কিংবা শরীরের যে কোন স্থানের ক্ষত থেকে— এমন ব্যক্তির রোযা সহিহ যদি অনেক রক্ত বের হয় তবুও।

এটি শাইখ উছাইমীনের ফতোয়ার সারাংশ। দেখুন: ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা (২/১৩২)।

কিন্তু ব্যক্তির অনিচ্ছায় বের হওয়া রক্তের পরিমাণ যদি বেশি হয় যার ফলে সে দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে তার জন্য রোযা ভেঙ্গে ফেলা এবং এর বদলে রোযাটির কাযা পালন করা জায়েয হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
Movies
Movies
Movies