Imported post: Facebook Post: 2021-11-26T14:17:40
‘তাঁরা কীভাবে দলীয় মনোনয়ন পান, সেটা বোধগম্য নয়’
শাহাবুল শাহীন
গাইবান্ধা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুদকের মামলার পাঁচ আসামিকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নেতারা অনেকে বলছেন, ওই পাঁচজনের অপরাধ এখনো প্রমাণ হয়নি। তবে অধিকাংশই বলছেন, দুদকের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
মনোনয়ন পাওয়া ওই পাঁচজনই নিজ নিজ ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান। ধর্মীয় সভার নামে চাল আত্মসাতের মাধ্যমে ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট দুদক ওই ৫ জনসহ ১৯ জনকে আসামি করে এই মামলা করে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মতিন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতিতে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত এমন ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গোবিন্দগঞ্জবাসী জানে, প্রাথমিক তদন্তে ওই মামলার সত্যতা পেয়েছে দুদক। দুর্নীতি হয়েছে সেটাও সত্য। ওই সময় অর্থাৎ ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে কয়েকজন চেয়ারম্যান অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন, এটা সবাই জানে। দোষীরা চিহ্নিত হবেই। তিনি আরও বলেন, গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজদের কারণে গোবিন্দগঞ্জের উন্নয়ন থেমে থাকতে পারে না। যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতির সঙ্গে আপস করেন না, তাঁদের এখানে থাকতেও দেওয়া হয় না।
মনোনয়ন পাওয়া ওই পাঁচজনই নিজ নিজ ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান। ধর্মীয় সভার নামে চাল আত্মসাতের মাধ্যমে ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট দুদক ওই ৫ জনসহ ১৯ জনকে আসামি করে এই মামলা করে
মামলার আসামিদের মনোনয়ন দেওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সরকার প্রথম আলোকে বলেন, দলের বর্ধিত সভায় সবার মত নিয়েই অনেকের নামের তালিকা উপজেলায় পাঠানো হয়। সেই তালিকা জেলা কমিটি হয়ে কেন্দ্রে যায়। কেন্দ্রীয় কমিটি দলীয় প্রার্থী বেছে নেয়। আর যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তো আদালতে এখনো অপরাধী সাব্যস্ত হননি।
তবে তৃণমূলের অন্য নেতা-কর্মীরা বলছেন ভিন্ন কথা। দরবস্ত ইউনিয়নের দুর