নোটিশ

রাকিব মাল্টিমিডিয়ার এই পোস্ট টি আপনার ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং অন্যদেরকে এই ওয়েব সাইট টি ভিজিট করার জন্য অনুরোধ করছি। আপনার যেকোনো অভিযোগ সরাসরি জানাতে কল করুন 01772131866 নাম্বারে। ধন্যবাদ ---মো: রাকিবুল হাসান, স্বত্তাধীকারী, রাকিব মাল্টিমিডিয়া
Movies

অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?

 

অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?



(Amazon Affiliate Marketing) অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে তার মানে হচ্ছে, আপনি অনলাইনে এফিলিয়েট কিংবা ব্লগিং করে টাকা আয় করার চেষ্টা করছেন। তবে সঠিক গাইডলাইনের অভাবে আপনি সফল হতে পারছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই, আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন, আর কি কি আলোচনা করা হচ্ছে বুঝতে থাকুন।

আশা করছি এই আর্টিকেল পড়ার শেষে আপনি একটি সঠিক গাইডলাইন পাবেন, যেটা আপনার কাঙ্ক্ষিত সফলতায় পৌছানোর পথে সহায়ক হিসাবে কাজ করবে। দেরি না করে চলুন জেনে নিই অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং (Amazon Affiliate Marketing) সম্পর্কে।

 

অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

 

আমরা সবাই অ্যামাজন ডট কম কে চিনি। এটি একটি ইকমার্স প্লাটফর্ম যেখান থেকে মানুষ অনলাইনে বেচা কেনা করে। আর এটি ইন্টারন্যাশনাল হওয়ায়, মোটামুটি সব দেশ থেকেই পণ্য অর্ডার করা যায়। তবে কিছু কিছু দেশ থেকে এখনো পণ্য কেনা যায় না।

যাই হোক, এইগুলা আমাদের আলোচনার বিষয় না। আমরা শিখবো কিভাবে অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো। তবে তার আগে আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সেটা জেনে নিই।

সাধারণভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্য কমিশনের বিনিময়ে প্রমোশনের মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন আয় করা। মানে ধরুন আমাজনে হাজার হাজার প্রোডাক্ট আছে, আর আপনার কাছে ওই পণ্যের ক্রেতাদের একটি অংশ আছে, যারা আপনার ওয়েবসাইট কিংবা সোশ্যাল প্রোফাইল, ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত ভিজিট করে।

এখন আপনি অ্যামাজন এফিলিয়েট নেটওয়ার্কে জয়েন করলেন আর সেখানে আপনার ওই ওয়েবসাইট কিংবা সোশ্যাল প্রোফাইল, ইউটিউব চ্যানেলকে ইন্টিগ্রেট করে দিলেন।

এখন আপনি অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে সেই প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলে আলোচনা করলেন। আর সেখানে ঐ প্রোডাক্টির জন্যে আপনার এফিলিয়েট লিংকটি শেয়ার করলেন। এবার আপনার ঐ লিংক ভিজিট করে যারাই কোন পণ্য কিনবে তাদের সেই পণ্যের বিক্রিত মূল্যের একটি অংশ আপনি কমিশন হিসাবে পাবেন।

আসলে যেকোন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এই একই সিস্টেমে কাজ করে। এভাবে তারা এফিলিয়েট মার্কেটারদের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং করে, আর তাদের পণ্য বিক্রি করে। যাই হোক এতক্ষনে আপনি বুঝে গেছেন যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে।

আপনাকে আমাজনের এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক দিয়ে বুঝানোর একটা আলাদা কারণ আছে। যেহেতু আমরা এই এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক নিয়েই আলোচনা করবো, তাই এটির কাজের ধরণ সম্পর্কে বুঝতে পারলেই আমাদের পরের আলোচনাগুলো আপনার বুঝতে আরো সহজ লাগবে।

আসুন এবার আমরা আমাদের মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। জেনে নিই অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো।

 

অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?

 

অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং তেমন আহামরি কোন কিছু না। সিস্টেমটা বুঝে যদি সঠিকভাবে কাজ করা যায় তাহলে সফলভাবে এখান থেকে ভাল পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে। নিচের লিস্টে কয়েকটা জিনিসের নাম উল্লেখ করছি যেগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কাজে লাগবে।


ভিজিটর ড্রাইভিং প্ল্যাটফর্ম

প্রথমে আপনার একটি সোর্স লাগবে যেখানে আপনি আপনার এফিলিয়েট লিংকগুলো বিভিন্ন উপায়ে শেয়ার করবেন। তবে শুধু শেয়ার করলেই তো হবে না, সেখানে ভিজিটর আসতে হবে। ভিজিটর যদি না আসে আর আপনার লিংক ব্যবহার করে বিক্রি না হয় তাহলে আপনার কোন আয় হবে না।

এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আপনার ভিজিটররা আপনার শেয়ার করা প্রোডাক্ট কেনার জন্যে খুঁজছে কিনা। যদি না খুঁজে তাহলেও আপনার সফল হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এজন্যে আপনাকে সটিকভাবে টার্গেট করতে হবে, আর সেই টার্গেটেড ভিজিটররা কি ধরণের প্রোডাক্ট পছন্দ করে, সেই অনুযায়ী আপনাকে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে।

এছাড়া আরেকটি কার্যকরী পদ্ধতি আছে। আসুন সেটি জেনে নিই।

শুরুতে আপনাকে একটি টপিক সিলেক্ট করতে হবে যেটি আপনি পছন্দ করেন কিংবা যেই টপিকে আপনি লিখতে ভালবাসেন। তবে টপিক আপনি যেকোনটা নিয়েই কাজ করতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটার দিয়ে লিখিয়ে নিতে পারবেন যদি আপনি নিজে না লিখতে চান তাহলে।

এরপর ঐটপিকে আপনি একটি ওয়েবসাইট করবেন। আর কিওয়ার্ড রিসার্সের মাধ্যমে কম্পিটিশন কম এমন কিছু কিওয়ার্ড নিয়ে কন্টেন্ট লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিবেন। তারপর কন্টেন্টগুলোকে অপটিমাইজ করবেন বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে যেন আপনার কন্টেন্ট সার্স ইঞ্জিনে প্রথমদিকে র‍্যাংক করে।

 

র‍্যাংক না করাতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে না, এটা শিওর। এজন্যে আপনাকে সব সময়ই সহজে র‍্যাংক করা যায় এমন কিওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন। আর এভাবেই আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে সহজেই ভিজিটরকে আপনার ওয়েবসাইটে আনা যায়।

 

কোয়ালিটি কন্টেন্ট

কোয়ালিটি কন্টেন্ট ছাড়া আপনি কখনোই অনলাইনে কিছু করতে পারবেন না। হোক সেটা টেক্সট বেইসড কন্টেন্ট কিংবা গ্রাফিক বেইসড কন্টেন্ট। আপনাকে অবশ্যই ভাল কোয়ালিটির মানসম্মত কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে যেন রিডাররা পড়ার পরে ভালভাবে বুঝতে পারে, আর সেখান থেকে আপনার এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে তাদের পছন্দের পণ্য কিনে।

আর আমরা আগেই বলেছি যে, আপনার লিংক দিয়ে যদি পণ্য বিক্রি না হয়, তাহলে আপনার কোন ইনকাম হবে না। এজন্যে কন্টেন্টের কোয়ালিটির দিকে অবশ্যই আপনাকে ভালভাবে নজর দিতে হবে।

আপনি নিজে যদি কন্টেন্ট লিখতে পারেন তাহলে সব থেকে ভাল। কারণ আপনি নিজের কন্টেন্ট অনেক যত্ন করে লিখবেন। ভালভাবে প্রুফরিড করে তারপরে পাবলিশ করবেন। তবে এত চিন্তা করার কিছু নেই কন্টেন্ট নিয়ে। Science Technology এর SEO Friendly Content Writing Masterclass কোর্সটি করে আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন কনটেন্ট রাইটিং এক্সপার্ট।

আপনি যদি চান একটু ভাল পরিমাণে ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে নামতে পারলে, খুব সহজেই কমমূল্যে কোয়ালিটি কন্টেন্ট পেতে পারেন। তবে বাইরে থেকে রাইটার হায়ার করার ক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস নজরে রাখতে। রাইটারকে আপনি সটিকভাবে ইন্সট্রাকশন দিচ্ছেন কিনা, রাইটার সঠিকভাবে রিসার্স করে কন্টেন্ট লিখছে কিনা, গ্রামাটিক্যাল ভুল করছে কিনা, আর সর্বোপরি রাইটারের আচার-ব্যবহার কেমন।

সাধারণভাবে ভাল মানের রাইটারদের ব্যবহার খুবই ভাল হয়। তারা সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ জমা দেয়। এছাড়াও সাইটের ভালর জন্যে কন্টেন্ট সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখে। আর হায়ার করার সময়, আগের কিছু কন্টেন্ট চেক করে নিবেন।

 

এফিলিয়েট একাউন্ট ইন্টিগ্রেশন

আপনি যত বেশি ভাল কোয়ালিটি কন্টেন্ট দিতে থাকবেন, আপনার কন্টেন্ট তত বেশি র‍্যাংক হবে সার্চ ইঞ্জিনে। এছাড়া অন্যান্য প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে চাচ্ছেন, সব জায়গাতেই একই পদ্ধতিতে কন্টেন্ট দিতে থাকতে হবে।

মানুষ যতবেশী আপনার কন্টেন্ট পড়বে এবং তাদের সমস্যার সমাধান পাবে কিংবা ভাল অর্থবহ ফলাফল পাবে ততবেশি আপনার সাইটে কিংবা অন্যান্য প্লাটফর্মে আসবে। এভাবে আপনি যখন দেখবেন আপনার সাইটে ভিজিটর আসা শুরু করেছে, তখন আপনাকে অ্যামাজন এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিয়ে এফিলিয়েট একাউন্টটি একটিভ করে নিতে হবে।

সাথে সাথে আপনার ওই প্লাটফর্ম কিংবা সোশ্যাল প্রোফাইল জমা দিতে হবে। মানে আপনি যেখানে যেখানে আপনার এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে চাচ্ছেন সেই জায়গাগুলোতে আপনার প্রোফাইল লিংক দিতে হবে। এরপর আমাজনের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আছে তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্যে।

সেই সব শর্তগুলো যদি আপনি পূরন করতে পারেন, তাহলে খুব শীঘ্রই আপনি আপনার এফিলিয়েট একাউন্ট এপ্রুভালের নোটিশ পেয়ে যাবেন। আর এই নোটিশ পেয়ে গেলেই আপনার এফিলিয়েট আর্নিং শুরু হয়ে যাবে।

 

উপসংহার

উপরে আলোচনা সঠিকভাবে যদি আপনি পড়ে আর বুঝে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনার কাজ করা উচিৎ। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের প্র্যাকটিক্যাল নলেজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে, যেন আপনারা যেকোন এই গাইডলাইন ব্যবহার করে তাদের এমাজন এফিলিয়েট থেকে ভাল পরিমানে আয় করতে পারবেন।

আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি মোটামুটি সবকিছু সহজ কথায় তুলে ধরতে। যেন কারো মনে অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুর করবো, এই প্রশ্ন আর না আসে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
Movies
Movies
Movies