আমাদের যুবসমাজ ও ইন্টারনেট
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ তা‘আলার নামে শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, আর দুরূদ ও সালাম সে নবীর উপর যার পরে আর কোন নবী নেই।
আরবী প্রবাদ বাক্য রয়েছে : ‘‘কোন বস্ত্তর ভালবাসা তাকে অন্ধ ও বধির করে দেয়।’’ অর্থাৎ মানুষ যখন কোন বস্ত্তকে ভালবাসে এবং তার ভালবাসা সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন সে তার দোষ-ত্রুটি ও ক্ষতিকর দিক ভূলে যায়। ফলে সে তাতে কোন দোষ-ত্রুটি দেখেনা, তাতে কোন বিপদ বা অকল্যাণ খুঁজে পায় না, যদিও তাতে অনেক দোষ-ত্রুটি, অনেক বিপদ ও অকল্যাণ থাকে।
যেমন বলা হয়ঃ ‘‘আমি তার ভালবাসার কারণে কাল জিনিসকেও ভালবাসি, এমনকি তার ভালবাসার কালো কুকুরকেও ভালবাসি।’’ আধুনিক যুগে যুবক ও যুবতীদের মাঝে ইন্টারনেট প্রীতি, গভীর মনোনিবেশ সহকারে এর যথেচ্ছ ব্যবহার, কোন প্রকার ক্লান্তি অথবা বিরক্তবোধ ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেটের সামনে বসে থাকা এমনি একটি বিষয় যা সামাজিক ও চারিত্রিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখানে আমরা সঠিক পথ প্রাপ্ত যুবক যুবতীদের ব্যাপারে কথা বলছিনা, যারা ইন্টারনেটকে বৈধ প্রয়োজনে ব্যবহার করে, অথবা জাতির কল্যাণে ব্যবহার করে অথবা বিভিন্ন কল্যাণকর অঙ্গনে ব্যবহার করে। যেমন সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ, ইসলামের দিকে দাওয়াত, ইসলামের শত্রুদের জবাব দান, উত্তম চরিত্র ও উপকারী জ্ঞান বিজ্ঞনের প্রসার। আর তারা মাকড়সার জালের ন্যায় পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা এ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল উপকারী ও কল্যাণকর বিষয় সমূহ থেকে যথা সম্ভব উপকৃত হয়ে থাকে।
বরং আমরা কথা বলছি ঐ সকল হাজার হাজার যুবক ও সমূহ বিপদগ্রস্থদের ব্যাপারে, যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিপর্যস্ত হয়েছে, এতে কঠিনভাবে আসক্ত হয়েছে, এমনকি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ থেকে বিমুখ হয়েছে। ফলতঃ ইন্টারনেট এদেরকে সন্ত্রাস ও বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্ম কান্ডের দিকে ধাবিত করেছে। তাদেরকে ইন্টারনেট কি কল্যাণ উপহার দিয়েছে? আল্লাহর দিকে দাওয়াতের ক্ষেত্রে কোন উপকারিতা কি তারা পেয়েছে? তারা কি ইসলামের শত্রুদের পদক্ষেপ সমূহ চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে? ইসলাম ও মুসলিমদের নিধন করার ব্যাপারে শত্রুদের ঘৃণা ও ষড়যন্ত্র সমূহ তারা কি চিহ্নিত করতে পেরেছে? তারা কি ইসলামী ওয়েবসাইটসমূহের মাধ্যমে উপকারী শরয়ী জ্ঞানসমূহ লাভ করতে সক্ষম হয়েছে? তারা কি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান লাভ এবং এর মাধ্যমে উন্নতি ও অগ্রগতির কারণ সমূহ জানতে সক্ষম হয়েছে? তারা কি পরিসংখ্যান বিদ্যা ও বিশিষ্ট বিষয়সমূহের উপর নির্ভরশীল সামগ্রীক গবেষণা কর্ম সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছে? তারা কি জাতির মর্যাদা পুনরুদ্ধার এবং অতীতের গৌরব গাঁথার ইতিহাস প্রসারে সক্ষম হয়েছে? ইসলাম সম্পর্কে যে সকল অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে, তার জবাব দিতে সক্ষম হয়েছে? আসলে ইন্টারনেটের উপকারীতা বহুবিধ। অধিকাংশ যুবক এ সকল উপকারী বিষয় সমূহের প্রতি গুরুত্বারোপ করেনা।
তারা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে উলঙ্গ ছবি দেখার ক্ষেত্রে, অশস্নীল দৃশ্যসমূহ উপভোগ করার জন্য এবং এমন অবৈধ ওয়েবসাইট সমূহ খোঁজার ক্ষেত্রে, যা একজন যুবককে পাশবিক শক্তিতে বন্দি করে ফেলে আর পাশবিক কুপ্রবৃত্তির সামনে দূর্বল করে ফেলে। ফলে তাকে ফলদায়ক উপকারী যে কোন কাজ থেকে বিরত রাখে এবং তাকে সংকীর্ণ গন্ডীতে বন্দি করে রাখে। এ চক্রটি কুপ্রবৃত্তি এবং পাশবিক শক্তির বৃত্ত, যা তাকে পূর্ণভাবে গ্রাস করে নেয়।
অথচ এ ইন্টারনেট বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ঘটনাবলীর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহার করা যায়, এক কথায় যাকে ‘বিশ্বকে এক কক্ষে নিয়ে আসার মাধ্যম’ বলা যায়।
এর মাধ্যমে উলঙ্গ ছবি দেখা অথবা পথভ্রষ্ট যুবক যুবতীদের মাঝে যোগাযোগের মাধ্যমে এত বেশী সময় নষ্ট করা হয়, যে সময় তার জীবন উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা যেতো। ড. সুলাইমান আল-খুদারী বলেন, এ অশ্লীল ছবি সমূহ যুবক যুবতীদের মানসিক ও স্বাহ্যগত দিক থেকে অত্যন্ত ক্ষতিকর, কেননা এ ছবি সমূহ তার মনে ও ব্রেইনে সারাক্ষণ ঘুরপাক খেতে থাকে, ফলে তা দেখা তার বদ অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ ছবি সমূহ দেখা হয়, তখন সে যে কোন উপায়ে সে পরিতৃপ্ত হতে চায়। আর তখনই এর ক্ষতিকর দিক প্রতিফলিত হয়, ফলে সে ভ্রান্ত অভিজ্ঞতায় অথবা সাময়িক আনন্দের অভিজ্ঞতায় পা দেয়, যার ফলশ্রুতিতে সে শারিরীক ও মানসিক বিভিন্ন ক্ষতিকর রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং ভ্রান্ত জীবনের বর্ণিল চরকিতে ঘুরপাক খেতে থাকে।
পরিসংখ্যানবিদ ও বিশ্লেষকদের মতেঃ-
১. ইন্টারনেটের আড্ডায় নিমজ্জিত ৮০% যুবক পরবর্তীতে বিয়ে করে না।
২. এদের ৭০% নিষিদ্ধ পল্লীতে যাতায়াত করে এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে।
৩. এদের ৫৫% তাদের পরিবারের কোন খোঁজখবর নেয়না।
৪. এদের অধিকাংশই খারাপ ওয়েবসাইট সমূহের ঠিকানা বিনিময় করে, এমনকি তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহেও। ফলে এটি শিক্ষা কার্যক্রকে বড়ই বাধাগ্রস্ত করে।
৫. ইন্টারনেটে আসক্ত অধিকাংশ যুবকের শিক্ষা জীবনের উপর এর কুপ্রভাব পড়ে। তাদের কেউ কেউ লেখাপড়ায় অগ্রগামী থেকেও পরে পর্যায়ক্রমে পশ্চাদগামী হয়ে পড়ে।
৬. ইন্টারনেটে আসক্ততা নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে উঠার পরিবর্তে অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ-সংঘাতের ঘটনা ঘটায়। ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক নতুন মুল্যবোধ গড়ে উঠে।
৭. যেমনি ভাবে ইন্টারনেট পারিবারিক বন্ধনকে শিথিল করে দেয়, তেমনি এর মাধ্যমে স্বাভাবিক বিবাহের মাধ্যমে গঠিত পরিবারতন্ত্র ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। ফলে পরিবারের পরিবর্তে অবৈধ পন্থার অবাধ জীবন যাপনে এরা অভ্যস্ত হয়ে উঠে। এরা মনে করে যৌনতাই বিবাহের মূল উদ্দেশ্য, আর সে উদ্দেশ্য যদি বিবাহ ছাড়াই পূরণ করা সম্ভব হয়, তাহলে বিাবহের আর প্রয়োজন কি? অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ বন্ধনে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে।
৮. কম্পিউটার সামগ্রীর মূল্য এবং ইন্টারনেট সংযোগ সস্তা হওয়ার ফলে অধিক সংখ্যক যুবক ইন্টারনেট জগতের দিকে ঝুঁকে পড়ার সুযোগ পায়। ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্রায় ৪ লক্ষ ওয়েবসাইটের সাথে তার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। অনেক রক্ষণশীল পরিবারের সন্তানদের শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে নৈতিকতা দূর্বল হয়ে পড়ে।
অতএব, প্রিয় ভাইয়েরা, বোনেরা!
একজন মুসলিম কি সব কিছুর সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে অথবা তা রাখা উচিত?
একজন বুদ্ধিমান যুবক যে তার নিজের, তার দ্বীনের,তার জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবে, অথচ সে কি চরিত্র বিধ্বংসী অশ্লীল দৃশ্য, উলঙ্গ ছবি দেখার মাধ্যমে তার মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিবে? অথচ যেখানে অমুসলিম যুবকেরা এ সংযোগের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক গবেষণা, বিশ্বজগৎ নিয়ে গবেষণা এবং নতুন নতুন আস্কিারের মাধ্যমে উন্নতি ও অগ্রগতির শীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছে।
হে যুবকেরা! হে যুবতীরা! তোমাদের কি হলো যে, আল্লাহ তা‘আলা যে কারণে এ জীবন দান করেছেন সে উদ্দেশ্যই তোমরা ভূলে গেলে? আর তোমরা বিভিন্ন ধ্যান ধারণা নিয়ে আনন্দে মেতে আছ, যার কোন বাস্তবতা নেই, কোন উপকারিতা নেই। একজন মুসলিম যুবকের কি উচিত, আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামত সমূহকে তাঁর নাফরমানী ও বিরুদ্ধাচারনের কাজে ব্যবহার করবে? আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে তোমার চিন্তা কি?
﴿ وَلَا تَقۡفُ مَا لَيۡسَ لَكَ بِهِۦ عِلۡمٌۚ إِنَّ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡبَصَرَ وَٱلۡفُؤَادَ كُلُّ أُوْلَٰٓئِكَ كَانَ عَنۡهُ مَسُۡٔولٗا ٣٦ ﴾ [الاسراء: ٣٦]
‘‘যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, (অযথা) তার পেছনে পড়ো না ; কেননা (কেয়ামতের দিন) কান, চোখ ও অন্তর, এ সব কয়টির (ব্যবহার ) সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।’’ [সূরা-বনী ইসরাঈল : ৩৬ ]
আল্লাহ তায়ালার এ বাণী কি তুমি ভূলে গিয়েছ?
﴿ قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ ٣٠ وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ ﴾ [النور : ٣٠، ٣١]
‘‘হে নবী, তুমি মোমেন পুরুষদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে (নিম্নগামী ও) সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহ হেফাযত করে; এটাই হচেছ তাদের জন্য উত্তম পন্থা; (কেননা) তারা (নিজেদের চোখ ও লজ্জাস্থান দিয়ে) যা করে, আল্লাহ তায়ালা সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে অবহিত রয়েছেন। আর মোমেন নারীদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে (নিম্নগামী ও) সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহ হেফাযত করে; আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না।’’ [সূরা আন-নূর : ৩০-৩১]
স্মরণ কর, আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী :
﴿ هَٰذَا كِتَٰبُنَا يَنطِقُ عَلَيۡكُم بِٱلۡحَقِّۚ إِنَّا كُنَّا نَسۡتَنسِخُ مَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٢٩ ﴾ [الجاثية : ٢٩]
‘‘এ হচেছ আমার (সংরক্ষিত) নথিপত্র, যা তোমাদের (কর্মকান্ডের) উপর ঠিক ঠিক বর্ণনা পেশ করবে; নিশ্চয়ই তোমরা যখন যা করতে আমি তা (এখানে সেভাবেই ) লিখে রেখেছি।’’ [সূরা আল-জাছিয়া : ২৯]
তুমি কি তোমার প্রতিপালক ও সৃষ্টিকর্তাকে লজ্জা করো না, যিনি তোমার ঘাড়ের চেয়েও নিকটবর্তী?
তুমি কি জাননা, কিয়ামতের দিন অতি নিকটেই? যে দিন তোমার সব লজ্জাজনক ও অশ্লীল কাজ সমূহের গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাবে।
﴿ وَبَدَا لَهُمۡ سَئَِّاتُ مَا عَمِلُواْ وَحَاقَ بِهِم مَّا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَهۡزِءُونَ ٣٣ ﴾ [الجاثية : ٣٣]
‘‘ সে দিন তাদের মন্দ কাজগুলো তাদের কাছে স্পষ্ট প্রকাশ হয়ে পড়বে, এবং সে বিষয়টিই তাদের পরিবেষ্টন করে নেবে যে ব্যাপারে তারা হাসি ঠাট্টা করে বেড়াত। [সূরা আল-জাছিয়া : ৩৩] তুমি কি জাননা, আল্লাহ তোমাকে দেখেন? তুমি যে অবস্থায়ই থাকনা কেন, তোমার সব কিছুই তাঁর সামনে প্রকাশিত।
﴿ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَخۡفَىٰ عَلَيۡهِ شَيۡءٞ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا فِي ٱلسَّمَآءِ ٥ ﴾ [ال عمران: ٥]
“অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার কাছে আকাশমালা ও ভূখন্ডের কোন তথ্যই গোপন নেই।” [ সূরা আলে ‘ইমরান : ৫]
সুতরাং প্রিয় ভাই ও প্রিয় বোন! আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর। তোমার প্রতিপালকের নাফরমানি থেকে বিরত থাক। তোমার যৌবন ও সুস্থতা যেন তোমার ক্ষতি না করে এবং তোমাকে ধোকায় না ফেলে। তুমি তোমার নিজের চিকিৎসক হয়ে যাও। তোমার রবের ইবাদাত বন্দেগী, জিকির ও শুকর-গুজারী, তার কিতাবের তেলাওয়াতের মাধ্যমে তোমার অন্তরের রোগ সমুহ দুর কর। সাময়িক প্রবৃত্তির তাড়নায় জান্নাতকে বিক্রি করে দিওনা, যে জান্নাতের প্রস্থ আসমান ও যমীনের সমান। বিভিন্ন ফেতনা থেকে নিজেকে দূরে রাখ। ফিতনা থেকে পালাও, যেমনটি বাঘের ভয়ে তোমরা পালিয়ে থাক । কারণ, শান্তি এমন জিনিস, যার সমকক্ষ কিছুই নেই। সৌভাগ্যশালী সে ব্যক্তি যে অন্যের উপদেশ গ্রহণ করে। অতপর তাকওয়া ও সঠিক পথে চলার জন্য তোমার রবের সাহায্য ও তওফীক কামনা কর। কারণ, আল্লাহ তা‘আলাই একমাত্র তওফীক দাতা, তিনিই উত্তম অবিভাবক, তিনিই উত্তম সাহায্যকারী। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার পরিবারবর্গ এবং তার সাহাবীগণের উপর দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক।