সুগন্ধি মেখে মেয়েদের বাড়ীর বাইরে যাওয়া আর পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করা।
সুগন্ধি মেখে মেয়েদের বাড়ীর বাইরে যাওয়া আর পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করাঃআজকাল আতর, সেন্ট, স্নো, পাউডার ইত্যাদি নানা প্রকার সুগন্ধি মেখে মেয়েরা ঘরে-বাইরে পুরুষদের মাঝে ব্যাপকভাবে চলাফেরা করছে। অথচ মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ বিষয়ে খুব কঠোরভাবে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন,
“পুরুষেরা গন্ধ পাবে এমন উদ্দেশ্যে আতর বা সুগন্ধি মেখে কোন মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করে-তাহলে সে একজন যিনাকারী মহিলা হিসাবে গণ্য হবে।” (মুসনাদে আহমাদ ৪/৪১৮, ছহীহুল জামে হা/১০৫)
অনেক মহিলা তো এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন, আর অনেকে তো এ বিষয়টিকে খুব হালকাভাবে গ্রহণ করে। যে সমস্ত মেয়েরা সেজেগুজে বিভিন্ন ধরণের সুগুন্ধি মেখে ড্রাইভারের সাথে গাড়িতে চলাফেরা করছে, দোকানে যাচ্ছে, স্কুল কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে, তারা শরী’আতের নিষেধাজ্ঞার দিকে সামান্যতমও খেয়াল করে না। মেয়েদের ঘরের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামী শরী‘আত এমন কঠোর বিধান আরোপ করেছে যে, বাড়ীর বাইরে যাওয়ার সময় মেয়েরা সুগন্ধি মেখে থাকলে- ঐ সুগন্ধিকে নাপাকী মনে করে ফরয গোসলের ন্যায় ঐ মহিলাকে গোসল করতে হবে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“যে মহিলা গায়ে সুগন্ধি মেখে মাসজিদের দিকে বের হয় এজন্য যে, তাঁর শরীরের সুবাস বা ঘ্রাণ পাওয়া যাবে, তাহলে তাঁর নামায ততক্ষণ পর্যন্ত গৃহীত হবে না- যতক্ষণ না সে নাপাকী দূর করার জন্য ফরয গোসলের ন্যায় গোসল না করবে।” (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৪, ছহীহুল জামে হা/২৭০৩)
বর্তমান যুগে হাটে-বাজারে, কলেজ- ইউনিভার্সিটিতে, বিভিন্ন অফিস-আদালতে আর যানবাহনাদিতে নানা ধরণের মানুষের সমাবেশে তথা সর্বত্র মহিলারা যে সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী যেমন আতর, সেন্ট, আগর, ধূনা, চন্দনকাঠের আতর ইত্যাদি মেখে যাতায়াত করছে তাঁর বিরুদ্ধে একমাত্র মহান আল্লাহর কাছেই আমাদের সকল অভিযোগ। আল্লাহর নিকটে আমাদের সমস্ত প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের উপর রাগান্বিত না হন। ঐ সমস্ত নাফরমান নর-নারীর কর্মের জন্য তিনি যেন সৎ লোকদেরকে পাকড়াও না করেন। আর মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে জান্নাতের পথে চলার পূর্ণ তাওফ্বীক দান করেন। আমীন।
সূত্রঃ বইঃ কতিপয় হারাম কাজ যেগুলিকে মানুষেরা হালকা মনে করে অথচ তা থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেকের ওয়াজিব,
“পুরুষেরা গন্ধ পাবে এমন উদ্দেশ্যে আতর বা সুগন্ধি মেখে কোন মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করে-তাহলে সে একজন যিনাকারী মহিলা হিসাবে গণ্য হবে।” (মুসনাদে আহমাদ ৪/৪১৮, ছহীহুল জামে হা/১০৫)
অনেক মহিলা তো এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন, আর অনেকে তো এ বিষয়টিকে খুব হালকাভাবে গ্রহণ করে। যে সমস্ত মেয়েরা সেজেগুজে বিভিন্ন ধরণের সুগুন্ধি মেখে ড্রাইভারের সাথে গাড়িতে চলাফেরা করছে, দোকানে যাচ্ছে, স্কুল কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে, তারা শরী’আতের নিষেধাজ্ঞার দিকে সামান্যতমও খেয়াল করে না। মেয়েদের ঘরের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামী শরী‘আত এমন কঠোর বিধান আরোপ করেছে যে, বাড়ীর বাইরে যাওয়ার সময় মেয়েরা সুগন্ধি মেখে থাকলে- ঐ সুগন্ধিকে নাপাকী মনে করে ফরয গোসলের ন্যায় ঐ মহিলাকে গোসল করতে হবে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“যে মহিলা গায়ে সুগন্ধি মেখে মাসজিদের দিকে বের হয় এজন্য যে, তাঁর শরীরের সুবাস বা ঘ্রাণ পাওয়া যাবে, তাহলে তাঁর নামায ততক্ষণ পর্যন্ত গৃহীত হবে না- যতক্ষণ না সে নাপাকী দূর করার জন্য ফরয গোসলের ন্যায় গোসল না করবে।” (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৪, ছহীহুল জামে হা/২৭০৩)
বর্তমান যুগে হাটে-বাজারে, কলেজ- ইউনিভার্সিটিতে, বিভিন্ন অফিস-আদালতে আর যানবাহনাদিতে নানা ধরণের মানুষের সমাবেশে তথা সর্বত্র মহিলারা যে সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী যেমন আতর, সেন্ট, আগর, ধূনা, চন্দনকাঠের আতর ইত্যাদি মেখে যাতায়াত করছে তাঁর বিরুদ্ধে একমাত্র মহান আল্লাহর কাছেই আমাদের সকল অভিযোগ। আল্লাহর নিকটে আমাদের সমস্ত প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের উপর রাগান্বিত না হন। ঐ সমস্ত নাফরমান নর-নারীর কর্মের জন্য তিনি যেন সৎ লোকদেরকে পাকড়াও না করেন। আর মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে জান্নাতের পথে চলার পূর্ণ তাওফ্বীক দান করেন। আমীন।
সূত্রঃ বইঃ কতিপয় হারাম কাজ যেগুলিকে মানুষেরা হালকা মনে করে অথচ তা থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেকের ওয়াজিব,